আরবি মাসের নাম ক্যালেন্ডার ২০২৬ - আরবি ১২ মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৬

প্রিয় ভিউয়ার্স। আসসালামু আলাইকুম। আশা করছি ভাল আছেন। আজকের পোস্টে আমি আপনাদের সামনে আরবি মাসের নাম ক্যালেন্ডার ২০২৬ নিয়ে হাজির হয়েছি। আপনি কি আরবি ১২ মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৬ সম্পর্কে জানতে চান। গুগলে সার্চ করে তেমনভাবে আরবি মাসের নাম ক্যালেন্ডার ২০২৬ ও আরবি ১২ মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৬ সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা যায় না। তাহলে আপনার জন্য আমাদের আজকের আর্টিকেল খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আরবি মাসের নাম ক্যালেন্ডার ২০২৬
বন্ধুরা আপনারা যারা গুগলে সার্চ করে আরবি মাসের নাম ক্যালেন্ডার ২০২৬ এ বিষয়ে সঠিক তথ্য খুঁজে পান না। আপনি যদি আমাদের আজকের আর্টিকেল সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়েন। তাহলে আরবি ১২ মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৬ সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে আরবি মাসের নাম ক্যালেন্ডার ২০২৬ ও আরবি ১২ মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৬ তা জেনে নিন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ আরবি মাসের নাম ক্যালেন্ডার ২০২৬ - আরবি ১২ মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৬

  • আরবি ক্যালেন্ডার ২০২৬
  • আরবি ক্যালেন্ডার এর উৎপত্তি
  • এক নজরে আরবি মাসের নাম
  • আরবি সনের প্রথম মাস শুরু
  • আরবি মাসের কত তারিখ আজ
  • জানুয়ারি মাসের আরবি ক্যালেন্ডার ২০২৬
  • ফেব্রুয়ারি মাসের ২০২৬ সালে আরবি ক্যালেন্ডার
  • মার্চ মাসের আরবি ক্যালেন্ডার
  • এপ্রিল মাসের আরবি ক্যালেন্ডার
  • মে ২০২৬ এর আরবি ক্যালেন্ডার
  • জুন মাসের আরবি ক্যালেন্ডার
  • জুলাই মাসের ২০২৬ আরবি ক্যালেন্ডার
  • আগস্ট মাসের আরবি ক্যালেন্ডার ২০২৬
  • সেপ্টেম্বর মাসের আরবির আজকের তারিখ
  • অক্টোবর মাসে সকল আরবি তারিখ সমূহ
  • আরবি মাসের নভেম্বর ২০২৬
  • ডিসেম্বর মাসের ক্যালেন্ডার আরবি সহ
  • আরবি ক্যালেন্ডার এর গুরুত্বপূর্ণ তারিখগুলো
  • শেষ কথাঃ

আরবি ক্যালেন্ডার ২০২৬

আরবি ক্যালেন্ডার বা ইসলামিক ক্যালেন্ডার মুসলিম জীবনের একটি অপরিহার্য সময়পরিমাপক পদ্ধতি। আমরা মুসলিমরা চাঁদ দেখার মাধ্যমে দিন, মাস ও বছরের হিসাব করি—যা আমাদের ধর্মীয় পালন, ইবাদত, রোজা, হজ, উৎসবসহ দৈনন্দিন জীবনকে সহজভাবে সাজাতে সাহায্য করে।

আরবি ক্যালেন্ডার ২০২৬ এক বছরে মোট ৩৫৪ বা ৩৫৫ দিন বিশিষ্ট একটি চন্দ্র ক্যালেন্ডার, যাতে থাকে ১২টি চন্দ্র মাস। প্রতিটি মাসের সঙ্গে ইসলামের বিভিন্ন তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা, শিক্ষা ও ঐতিহ্য জড়িয়ে আছে।

হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) যে চারটি পবিত্র মাসের কথা উল্লেখ করেছেন—
যুলক্বদ, যুলহজ্জ্ব, মহররম, এবং সপ্তম মাস রজব
এগুলোতে যুদ্ধ-বিগ্রহ নিষিদ্ধ ছিল। এসব মাসকে ইসলামে অত্যন্ত সম্মানিত ও বরকতময় হিসেবে গণ্য করা হয়।

ইতিহাস ও গবেষকদের বিশ্লেষণ অনুযায়ী প্রাচীন ইসলামিক ক্যালেন্ডারেও এই মাসগুলোকে শান্তি ও নিরাপত্তার সময় হিসেবে বিবেচনা করা হতো।

ক্রমিক নং আরবি মাসের নাম তাৎপর্য
মহররম আশুরা,পবিত্র মাস
সফর নিজ অধিকারের জন্য যুদ্ধ
রবিউল আউয়াল মহানবী (সাঃ) এর জন্মদিন
রবিউস সানি নিজেদের সমৃদ্ধ করার মাস
জুমাদা আল উলা সাধারণ জীবনযাপনের মাস
জুমাদা আল আখিরাহ সাধারণ মাস
রজব শবে মেরাজ, ধর্ম চর্চার মাস
শাবান রোজা রাখার প্রস্তুতির মাস
রমজান পবিত্র মাস(ফরজ রোজা)
১০ শাওয়াল ঈদ উল ফিতর, শুদ্ধ করা
১১ জ্বিলকদ পবিত্র মাস,হজ্জের প্রস্তুতি
১২ জিলহজ্জ হজ্জ, ঈদ উল আযহা

আরবি ক্যালেন্ডার এর উৎপত্তি

⭐ হিজরতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে হিজরী সনের সূচনা – ইসলামিক ক্যালেন্ডারের ইতিহাস ও পরিচয়

ইসলামিক ক্যালেন্ডার বা হিজরী সনের সূচনা হয়েছিল মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ঐতিহাসিক হিজরতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে। ৬২২ খ্রিস্টাব্দে মক্কা থেকে মদিনায় নবীজির দেশত্যাগ বা হিজরত-এর স্মরণে এই সন গণনা শুরু হয়।
হিজরত শব্দের অর্থ– দেশ ত্যাগ করা বা অন্য দেশে নিরাপত্তা খুঁজে নেওয়া।

⭐ হিজরী সন প্রবর্তন করেন হযরত ওমর (রাঃ)

ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর (রাঃ)-এর শাসনামলে আনুষ্ঠানিকভাবে হিজরী সন প্রবর্তিত হয়। সেই সময় বসরার গভর্নর আবু মুসা আশ’আরী (রাঃ) খলিফাকে একটি পত্র পাঠান; কিন্তু পত্রে তারিখ বা মাসের নাম উল্লেখের বিষয়ে বিভ্রান্তিতে পড়েন।

এই বিভ্রান্তি দূর করতে হযরত ওমর (রাঃ)-এর মনে নবীজির হিজরতের ঘটনাটি আসে, এবং সেখান থেকেই তিনি হিজরী সন গণনা শুরু করার নির্দেশ দেন। এরপর থেকে মুসলিম উম্মাহর আনুষ্ঠানিক তারিখ গণনা হিজরতের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয়।

⭐ হিজরী সন: একটি চন্দ্রনির্ভর ইসলামিক ক্যালেন্ডার

হিজরী সন একটি চন্দ্রনির্ভর ক্যালেন্ডার

৩৫৪ বা ৩৫৫ দিনে একটি বছর

মোট ১২টি চন্দ্র মাস নিয়ে গঠিত

প্রতিটি মাস চাঁদ দেখা অনুযায়ী শুরু হয়

⭐ হিজরী সনের গুরুত্ব

হিজরী সন কেবল একটি তারিখ নয়—এটি মুসলমানদের জন্য একটি ঐতিহাসিক স্মারক, সাহস, ত্যাগ, এবং আল্লাহর ওপর অটল বিশ্বাসের প্রতীক। নবীজির হিজরতের মাধ্যমে যে ত্যাগ, ধৈর্য ও আল্লাহর প্রতি ভরসা প্রদর্শিত হয়েছে, হিজরী সন সেই মহান ঘটনার ধারাবাহিক স্মারক হিসেবে আজও মুসলিমদের হৃদয়ে জেগে থাকে।

এক নজরে আরবি মাসের নাম

১️⃣ রজব ১৪৪৭ → শাবান ১৪৪৭ (জানুয়ারি ২০২৬)

রজব হলো হারাম মাসগুলোর একটি, যেখানে যুদ্ধ নিষিদ্ধ। ইবাদত, দোয়া ও নফল রোজার জন্য বিশেষ মাস।

২️⃣ শাবান ১৪৪৭ → রমজান ১৪৪৭ (ফেব্রুয়ারি ২০২৬)

শাবান হলো রমজানের প্রস্তুতির মাস। শবে বরাত এই মাসে হয়ে থাকে। নবী করীম (সা.) এ মাসে বেশি রোজা রাখতেন।

৩️⃣ রমজান ১৪৪৭ → শাওয়াল ১৪৪৭ (মার্চ ২০২৬)

রমজান—কুরআন নাজিলের মাস, রোজা, তারাবীহ, লাইলাতুল কদর—সবকিছু এই মাসে। শেষে ঈদুল ফিতর।

৪️⃣ শাওয়াল ১৪৪৭ → যুলক্বদ ১৪৪৭ (এপ্রিল ২০২৬)

শাওয়াল ঈদের পরবর্তী মাস। এই মাসে ৬টি শাওয়ালের রোজা রাখার বিশেষ ফজিলত আছে।

৫️⃣ যুলক্বদ ১৪৪৭ → যুলহজ্জ ১৪৪৭ (মে ২০২৬)

হারাম মাসগুলোর একটি। হজের প্রস্তুতির মাস এবং নবীজির বহু ঐতিহাসিক ঘটনা এই মাসে।

৬️⃣ যুলহজ্জ ১৪৪৭ → মহররম ১৪৪৮ (জুন ২০২৬)

হজ, আরাফাত, ঈদুল আযহা—সবকিছু এই মাসে। ইসলামে অত্যন্ত পবিত্র।

৭️⃣ মহররম ১৪৪৮ → সফর ১৪৪৮ (জুলাই ২০২৬)

ইসলামিক নতুন বছরের প্রথম মাস। আশুরার দিন বিশেষ তাৎপর্যের।

৮️⃣ সফর ১৪৪৮ → রবিউল আউয়াল ১৪৪৮ (আগস্ট ২০২৬)

সফর নিয়ে ভুল ধারণা থাকলেও এটি সাধারণ একটি মাস।

৯️⃣ রবিউল আউয়াল ১৪৪৮ → রবিউস সানি ১৪৪৮ (সেপ্টেম্বর ২০২৬)

নবীজির জন্ম ও মৃত্যু—উভয় ঘটনাই এ মাসে।

🔟 রবিউস সানি ১৪৪৮ → জুমাদাল আউয়াল ১৪৪৮ (অক্টোবর ২০২৬)

ইসলামের প্রাথমিক যুগের অনেক ঐতিহাসিক ঘটনা হয় এ মাসে।

1️⃣1️⃣ জুমাদাল আউয়াল ১৪৪৮ → জুমাদাল আখিরাহ ১৪৪৮ (নভেম্বর ২০২৬)

ফাতিমা (রাঃ)-এর ইন্তিকাল এ মাসে বলে উল্লেখ পাওয়া যায়।

1️⃣2️⃣ জুমাদাল আখিরাহ ১৪৪৮ → রজব ১৪৪৮ (ডিসেম্বর ২০২৬)

পুনরায় হারাম মাস—রজব শুরু। মেরাজের মাস। দোয়া কবুলের বিশেষ সময়।
  • হিজরী মাস পরিবর্তন খ্রিস্টাব্দ ২০২৬
  • রজব → শাবান ১৪৪৭ জানুয়ারি
  • শাবান → রমজান ১৪৪৭ ফেব্রুয়ারি
  • রমজান → শাওয়াল ১৪৪৭ মার্চ
  • শাওয়াল → যুলক্বদ ১৪৪৭ এপ্রিল
  • যুলক্বদ → যুলহজ্জ ১৪৪৭ মে
  • যুলহজ্জ → মহররম ১৪৪৮ জুন
  • মহররম → সফর ১৪৪৮ জুলাই
  • সফর → রবিউল আউয়াল ১৪৪৮ আগস্ট
  • রবিউল আউয়াল → রবিউস সানি ১৪৪৮ সেপ্টেম্বর
  • রবিউস সানি → জুমাদাল আউয়াল ১৪৪৮ অক্টোবর
  • জুমাদাল আউয়াল → জুমাদাল আখিরাহ ১৪৪৮ নভেম্বর
  • জুমাদাল আখিরাহ → রজব ১৪৪৮ ডিসেম্বর

আরবি মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৬ মুসলিমদের ধর্মীয়-সাংস্কৃতিক জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। হিজরী সন বা ইসলামিক ক্যালেন্ডারের ভিত্তিতেই আমাদের ধর্মীয় ইবাদত, রেওয়াজ, উৎসব, রোজা, সালাত, হজ্জসহ অসংখ্য ইসলামী আমল সঠিক সময়ে সম্পন্ন করা হয়।

মুসলিম উম্মাহর ধর্মীয় পরিচয়, ঐতিহাসিক ঘটনা, ঋতুচক্র ও মাসভিত্তিক বৈশিষ্ট্য―সবকিছুই আরবি ক্যালেন্ডারের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। যেমন—হিজরী বছরের প্রথম মাস মহররম, যা ইসলামে পবিত্রতম মাসগুলোর একটি এবং বহু ঐতিহাসিক ঘটনার স্মারক।

অন্যদিকে রজব মাসও একটি সংবেদনশীল ও পবিত্র মাস। ইসলামে যুদ্ধ নিষিদ্ধ মাসগুলোর মধ্যে রজব অন্যতম। এ মাসকে শান্তি, ইবাদত ও আত্মশুদ্ধির মাস হিসেবে গণ্য করা হয়।

রমজান মাস মুসলিমদের জন্য সর্বোচ্চ গুরুত্বের মাস। এটি রোজা রাখার মাস, তাকওয়া অর্জনের মাস, কুরআন নাজিলের মাস এবং আত্মার পবিত্রতা অর্জনের এক বিশেষ মৌসুম। "রমজান" শব্দের অর্থ তীব্র গরম—ইতিহাস মতে যখন পানির পিপাসা ও গরম অতিরিক্ত ছিল, তখন এই মাসটির নামকরণ রমজান হয়। তাই রোজার মাধ্যমে শরীর-মন পরিশুদ্ধ করা, ধৈর্য ধারণ করা এবং আল্লাহর নৈকট্য অর্জনই এ মাসের মূল উদ্দেশ্য।

আরবি ক্যালেন্ডার ২০২৬ তাই মুসলিমদের ধর্মীয় পালন, ইতিহাসের স্মৃতি, সাংস্কৃতিক চর্চা এবং ইবাদতের যথাযথ সময় নির্ধারণে একটি অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য ও পবিত্র ক্যালেন্ডার হিসেবে বিবেচিত।

আরবি সনের প্রথম মাস শুরু

আরবি মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৬-এর প্রথম মাস হলো মহররম। “মহররম” শব্দটি আরবি, যার অর্থ পবিত্র ও সম্মানিত। ইসলামে চারটি পবিত্র মাসের মধ্যে অন্যতম এই মহররম মাস। এই মাসে যুদ্ধ-বিগ্রহ নিষিদ্ধ করা হয়েছে, আর ইবাদত ও আত্মশুদ্ধির জন্য অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত।

মহররম মাসের দশম দিনকে আশুরা বলা হয়। আশুরা দিনটি ইসলামের ইতিহাসে এক অনন্য মর্যাদা ও বেদনাবোধের স্মারক, কারণ এই দিনে বহু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। নবী করীম (সা.) এ মাসকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বলেছেন—
“রমজানের পরে যদি সবচেয়ে উত্তম ইবাদতের মাস থাকে, তাহলে তা হলো মহররম।”
এবং এ মাসে ফরজ নামাজের পর সবচেয়ে উত্তম সালাত হলো তাহাজ্জুদ।

মহররমকে তাই শুধু একটি মাস বলা ঠিক নয়—এটি মুসলিম জাতির ত্যাগ, ধৈর্য, অধ্যবসায় ও ইতিহাস বহনকারী একটি বিশেষ সময়। অনেকেই এ মাসকে ভাগ্য পরিবর্তন ও আত্মসংযমের সুযোগ হিসেবে দেখে থাকেন।

⭐ আশুরার দিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলি

মহররম মাসের ১০ তারিখ, অর্থাৎ আশুরা—ইসলামের ইতিহাসে অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার দিন। প্রচলিত কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনা হলো—

✔ ১. আদম (আঃ)-এর সৃষ্টি

মহান আল্লাহ এই দিনে মানবজাতির আদিপিতা আদম (আঃ)-কে সৃষ্টি করেন।

✔ ২. আদম (আঃ)-কে জান্নাতে প্রবেশ করানো

এই দিনেই তাকে জান্নাতে স্থান দেওয়া হয়।

✔ ৩. ইব্রাহিম (আঃ)-এর জন্ম

খলিলুল্লাহ ইব্রাহিম (আঃ)-এর জন্ম এই দিনে হয়েছে বলে উল্লেখ পাওয়া যায়।

✔ ৪. মুসা (আঃ)-এর মুক্তি

মুসা (আঃ) ও তাঁর অনুসারীরা এই দিন ফেরাউনের অত্যাচার থেকে মুক্তি পান।

✔ ৫. ফেরাউনের ধ্বংস

এই দিনই আল্লাহ ফেরাউন ও তার সৈন্যবাহিনীকে নীল নদে ডুবিয়ে ধ্বংস করেন।

✔ ৬. ইউনুস (আঃ)-এর মুক্তি

মাছের পেট থেকে ইউনুস (আঃ) এই দিন মুক্তিলাভ করেন।

✔ ৭. কারবালার মহান ঘটনা

আরবি মাসের কত তারিখ আজ ২০২৬

আশুরার দিনে ইমাম হুসাইন (রা.) কারবালার ময়দানে ত্যাগের মহাপাঠ রেখে শহীদ হন। ইসলামের ইতিহাসে এটি সবচেয়ে হৃদয়বিদারক ঘটনার একটি।

আরবি মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৬ অনেক মুসলিমের কাছে গুরুত্বপূর্ণ কারণ আমরা দৈনন্দিন ইবাদত, রোজা, নামাজ, দোয়া, ইসলামী উৎসব ও ধর্মীয় নিয়ম মেনে চলতে চাই সঠিক আরবি তারিখ অনুযায়ী। তাই স্বাভাবিকভাবেই অনেকেই জানতে চান—
আজ ইংরেজি ক্যালেন্ডারে যত তারিখ, আর আরবি তারিখ কত?

অনেকে শুধুমাত্র ইংরেজি ক্যালেন্ডারের ওপর নির্ভর করেন, কিন্তু ইসলামী জীবনধারা সহজ ও সুন্দরভাবে গুছিয়ে নিতে আরবি ক্যালেন্ডারের সাথে মিল থাকা জরুরি। এজন্যই আমরা ২০২৬ সালের ইংরেজি ক্যালেন্ডারের তারিখের পাশে আরবি মাস অনুযায়ী তারিখ উপস্থাপন করছি, যাতে সবাই তাদের দৈনন্দিন কাজ, আমল ও ইবাদত আরও সহজে মিলিয়ে নিতে পারেন।

ইংরেজি মাসের তারিখ দেখে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন—
📌 আজ আরবি মাসের কত তারিখ।
📌 কোন ইসলামিক মাস চলছে।
📌 কোন ইবাদত বা আমল পালনযোগ্য।
📌 উৎসব বা বিশেষ দিনের সময় কাছাকাছি কিনা।
আরবি মাসের নাম ক্যালেন্ডার ২০২৬

আরবি মাসের নাম ক্যালেন্ডার ২০২৬

আরবি মাসের নাম ক্যালেন্ডার ২০২৬

আরবি মাসের নাম ক্যালেন্ডার ২০২৬

আরবি মাসের নাম ক্যালেন্ডার ২০২৬

আরবি মাসের নাম ক্যালেন্ডার ২০২৬

আরবি মাসের নাম ক্যালেন্ডার ২০২৬

আরবি মাসের নাম ক্যালেন্ডার ২০২৬

আরবি মাসের নাম ক্যালেন্ডার ২০২৬

আরবি মাসের নাম ক্যালেন্ডার ২০২৬

আরবি মাসের নাম ক্যালেন্ডার ২০২৬

আরবি মাসের নাম ক্যালেন্ডার ২০২৬

জানুয়ারি মাসের আরবি ক্যালেন্ডার ২০২৬

আরবি মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৬ অনুযায়ী বর্তমানে জানুয়ারি মাসে হিজরি ১৪৪৭ সনের রজব ও শাবান মাস অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। অর্থাৎ ইংরেজি জানুয়ারি মাসের দিনগুলো আরবিতে রজব ও শাবান – এই দুই মাসের মাধ্যমে গঠিত হয়েছে।

২০২৬ সালের জানুয়ারি মাসে ১২ তারিখ (বৃহস্পতিবার) রজব মাসের অন্তর্ভুক্ত, আবার ০১ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) ইংরেজি তারিখ অনুযায়ী আলাদা হলেও—দুই তারিখেই বার (Thursday) একই থাকে।

আরবি ও ইংরেজি ক্যালেন্ডারের পার্থক্য হলো—

বার একই থাকতে পারে,

কিন্তু মাসের নাম ও তারিখ ভিন্ন হয়।

ক্যালেন্ডারে এই হিসাবগুলো এত সুন্দরভাবে সাজানো থাকে যে এক নজরে বোঝা যায় কোন ইংরেজি তারিখে কোন আরবি মাস ও কোন দিন চলছে।
ইংরেজি তারিখ বার আরবি তারিখ আরবি মাস
০১ বৃহস্পতিবার ১২ রজব
০২ শুক্রবার ১৩ রজব
০৩ শনিবার ১৪ রজব
০৪ রবিবার ১৫ রজব
০৫ সোমবার ১৬ র্রজব
০৬ মঙ্গলবার ১৭ রজব
০৭ বুধবার ১৮ রজব
০৮ বৃহস্পতিবার ১৯ রজব
০৯ শুক্রবার ২০ রজব
১০ শনিবার ২১ রজব
১১ রবিবার ২২ রজব
১২ সোমবার ২৩ রজব
১৩ মঙ্গলবার ২৪ রজব
১৪ বুধবার ২৫ রজব
১৫ বৃহস্পতিবার ২৬ রজব
১৬ শুক্রবার ২৭ রজব
১৭ শনিবার ২৮ রজব
১৮ রবিবার ২৯ রজব
১৯ সোমবার ৩০ রজব
২০ মঙ্গলবার ০১ শাবান
২১ বুধবার ০২ শাবান
২২ বৃহস্পতিবার ০৩ শাবান
২৩ শুক্রবার ০৪ শাবান
২৪ শনিবার ০৫ শাবান
২৫ রবিবার ০৬ শাবান
২৬ সোমবার ০৭ শাবান
২৭ মঙ্গলবার ০৮ শাবান
২৮ বুধবার ০৯ শাবান
২৯ বৃহস্পতিবার ১০ শাবান
৩০ শুক্রবার ১১ শাবান
৩১ শনিবার ১২
শাবান                                                                             

ইসলামে চন্দ্র মাসের উপর নির্ভর করে আরবি মাসের ক্যালেন্ডার তৈরি করা হয়। চাঁদ দেখে মাসের শুরু ও শেষ নির্ধারণ করা হয়। বিশেষ করে প্রতিটি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে গণ্য করা হয়। এই দিনগুলোতে রোজা রাখার অনেক ফজিলত রয়েছে এবং নবী করীম (সা.) এ দিনের রোজা রাখার অনেক প্রভাবশালী তাৎপর্য বর্ণনা করেছেন।

আরবি মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৬ বা ইসলামিক ক্যালেন্ডার ধর্মীয় উদ্দেশ্যে পুরো ইসলামী বিশ্বে ব্যবহার করা হয়। এটি একটি চন্দ্রনির্ভর ক্যালেন্ডার, যা বারো মাসে বিভক্ত। প্রতিটি মাসের নির্দিষ্ট তাৎপর্য রয়েছে।

২০২৬ সালের ইসলামিক ক্যালেন্ডারের গুরুত্বপূর্ণ মাসসমূহ হলো:
  • মহররম – পবিত্র মাস
  • রবিউল আউয়াল – নবীজির জন্মমাস
  • রবিউস সানি – ইসলামের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা
  • জুমাদাল আউয়াল ও জুমাদাল আখিরাহ – প্রাচীন ঐতিহাসিক মাস
  • শাবান – রমজানের প্রস্তুতি
  • রমজান – রোজা ও ইবাদতের মাস

ফেব্রুয়ারি মাসের ২০২৬ সালে আরবি ক্যালেন্ডার

ফেব্রুয়ারি মাসে আরবি ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে সাবান এবং রমজান মাস। ইসলামে রমজান মাসকে বিশেষভাবে পবিত্র মাস হিসেবে গণ্য করা হয়, কারণ এই মাসে মুসলিমরা পুরো মাস জুড়ে রোজা রাখে, আল্লাহর ইবাদত ও নফল আমল বৃদ্ধি করার চেষ্টা করে।

⭐ সাবান মাসের তাৎপর্য

  • অর্থ: সাবান শব্দের অর্থ হলো বিক্ষিপ্ত

  • ঐতিহাসিকভাবে, এই মাসে আরবের মানুষেরা পানির জন্য অনেক দূরে দূরে ছুটে বেড়াত। এজন্যই এই মাসের নাম রাখা হয় সাবান

  • আরেকটি অর্থ হলো মাঝারি মাস—কারণ এটি রজব এবং রমজানের মধ্যে অবস্থান করছে।

⭐ রমজান মাসের তাৎপর্য

  • রমজান অর্থাৎ দহন—এতে ইবাদত, রোজা এবং আত্মশুদ্ধির গুরুত্ব বেশি।

  • প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানদের জন্য রোজা ফরজ

  • রমজান মাস চন্দ্র মাসের ওপর নির্ভরশীল। প্রতিটি মাসের শুরু ও শেষ নতুন চাঁদ দেখে নির্ধারণ করা হয়।

  • প্রতিটি চন্দ্র মাস সাধারণত ২৯ বা ৩০ দিন দীর্ঘ হয়।

সাবান ও রমজান—এই দুই মাস মুসলিমদের জীবনধারার সঙ্গে জড়িত। সাবান মাসে ইবাদত ও প্রস্তুতি, এবং রমজান মাসে পূর্ণ ইবাদত ও রোজা—দুটি মিলিতভাবে আমাদের আধ্যাত্মিক উন্নয়ন ও ধর্মীয় পালনকে আরও সুন্দর করে তোলে।

ইংরেজি তারিখ বার আরবি তারিখ আরবি মাস
০১ রবিবার ১৩ শাবান
০২ সোমবার ১৪ শাবান
০৩ মঙ্গলবার ১৫ শাবান
০৪ বুধবার ১৬ শাবান
০৫ বৃহস্পতিবার ১৭ শাবান
০৬ শুক্রবার ১৮ শাবান
০৭ শনিবার ১৯ শাবান
০৮ রবিবার ২০ শাবান
০৯ সোমবার ২১ শাবান
১০ মঙ্গলবার ২২ শাবান
১১ বুধবার ২৩ শাবান
১২ বৃহস্পতিবার ২৪ শাবান
১৩ শুক্রবার ২৫ শাবান
১৪ শনিবার ২৬ শাবান
১৫ রবিবার ২৭ শাবান
১৬ সোমবার ২৮ শাবান
১৭ মঙ্গলবার ২৯ শাবান
১৮ বুধবার ৩০ শাবান
১৯ বৃহস্পতিবার ০১ রমজান
২০ শুক্রবার ০২ রমজান
২১ শনিবার ০৩ রমজান
২২ রবিবার ০৪ রমজান
২৩ সোমবার ০৫ রমজান
২৪ মঙ্গলবার ০৬ রমজান
২৫ বুধবার ০৭ রমজান
২৬ বৃহস্পতিবার ০৮ রমজান
২৭ শুক্রবার ০৯ রমজান
২৮ শনিবার ১০ রমজান      

মার্চ মাসের আরবি ক্যালেন্ডার ২০২৬

ইসলামিক ক্যালেন্ডার সাধারণত মাস এবং তারিখ নির্ধারণ করে চন্দ্রের উপর ভিত্তি করে, তবে কিছু পরিবর্তনশীল নিয়মও প্রযোজ্য। চন্দ্র মাসের তারিখ কখনো কখনো পরিবর্তিত হতে পারে, কারণ মাসের শুরু নির্ভর করে চাঁদ, পৃথিবী এবং সূর্যের সরাসরি অবস্থানের উপর

২০২৬ সালের মার্চ মাস শুরু হয়েছে রমজান মাসের ১১ তারিখ থেকে এবং শেষ হয়েছে শাওয়াল মাসের ১২ তারিখে। মুসলমানদের জন্য রমজান ও শাওয়াল মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ

  • রমজান মাস: পুরো মাস জুড়ে মুসলিমরা ফরজ রোজা পালন করেন। এটি আত্মশুদ্ধি, ধৈর্য এবং আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের মাস।

  • শাওয়াল মাস: রমজান শেষে আসে, এবং ঈদুল ফিতর পালিত হয়।

এইভাবে, আরবি মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৬ মুসলিমদের জন্য প্রতিটি মাস, তারিখ এবং রোজার সঠিক সময় নির্ধারণে সহায়ক। এটি দৈনন্দিন ইবাদত এবং ধর্মীয় পালনকে আরও সুশৃঙ্খল ও সুবিধাজনক করে তোলে।



ইংরেজি তারিখ বার আরবি তারিখ আরবি মাস
০১ রবিবার ১১ রমজান
০২ সোমবার ১২ রমজান
০৩ মঙ্গলবার ১৩ রমজান
০৪ বুধবার ১৪ রমজান
০৫ বৃহস্পতিবার ১৫ রমজান
০৬ শুক্রবার ১৬ রমজান
০৭ শনিবার ১৭ রমজান
০৮ রবিবার ১৮ রমজান
০৯ সোমবার ১৯ রমজান
১০ মঙ্গলবার ২০ রমজান
১১ বুধবার ২১ রমজান
১২ বৃহস্পতিবার ২২ রমজান
১৩ শুক্রবার ২৩ রমজান
১৪ শনিবার ২৪ রমজান
১৫ রবিবার ২৫ রমজান
১৬ সোমবার ২৬ রমজান
১৭ মঙ্গলবার ২৭ রমজান
১৮ বুধবার ২৮ রমজান
১৯ বৃহস্পতিবার ২৯ রমজান
২০ শুক্রবার ০১ শাওয়াল
২১ শনিবার ০২ শাওয়াল
২২ রবিবার ০৩ শাওয়াল
২৩ সোমবার ০৪ শাওয়াল
২৪ মঙ্গলবার ০৫ শাওয়াল
২৫ বুধবার ০৬ শাওয়াল
২৬ বৃহস্পতিবার ০৭ শাওয়াল
২৭ শুক্রবার ০৮ শাওয়াল
২৮ শনিবার ০৯ শাওয়াল
২৯ রবিবার ১০ শাওয়াল
৩০ সোমবার ১১ শাওয়াল
৩১ মঙ্গলবার ১২ শাওয়াল

এপ্রিল মাসের আরবি ক্যালেন্ডার

  • ইসলামি ক্যালেন্ডার একটি চাঁদের হিসাব (lunar calendar), অর্থাৎ প্রতি মাস শুরু হয় নতুন চাঁদ (crescent) দেখার সঙ্গে।

  • মাসগুলো ২৯ বা ৩০ দিন হতে পারে, চাঁদের ওঠা-অস্ত এবং আবহাওয়া অনুযায়ী। 

  • বছর মোট ১২ মাস — এবং গ্রেগরিয়ান সৌরবর্ষের মতো নয়। 

  • ইসলামি মাসগুলো ধারাবাহিকভাবে হলো:
    ১) Muharram, ২) Safar, ৩) Rabiʽ al-Awwal, ৪) Rabiʽ al-Thani, ৫) Jumada al-Ula, ৬) Jumada al-Thani, ৭) Rajab, ৮) Shaʽban, ৯) Ramadan, ১০) Shawwal, ১১) Dhu al-Qadah, ১২) Dhu al-Hijjah.

  • 📆 শাওয়াল মাস (Shawwal) — মাস ১০

  • Shawwal হলো দশম মাস। 

  • Shawwal-এর নামের অর্থ “raised” — বলা হয়, এই সময় আরব দেশগুলোর স্ত্রী উটরা সাধারণত গর্ভবতী থাকত, অর্থাৎ নতুন জীবনের চিহ্ন — তাই এই মাসকে Shawwal বলা হয়। 

  • Shawwal মাসের প্রথম দিন হলো Eid al-Fitr — রমজানের রোজা শেষে ঈদ-উল-ফিতর পালিত হয়।

  • ইসলামি ঐতিহ্যে, Shawwal মাসে রোজা বা অন্যান্য নফল ইবাদত (যেমন ৬ দিন রোজা — “Shawwal রোজা”) পালন করা সুন্নত।

  • অর্থাৎ, রমজানে যা শুরু হয়েছে — আত্মিক পরিশোধ, ইবাদত, নিয়মানুবর্তিতা — তার পর Shawwal মাসে সেগুলোর ধারাবাহিকতা বজায় রাখার সুযোগ। 

🛐 জুলকাদ / জিলকদ মাস (Dhu al-Qadah) — মাস ১১

  • Dhu al-Qadah হলো ইসলামি ক্যালেন্ডারের একাদশ (১১তম) মাস। 

  • এটি একটি “পবিত্র মাস” (sacred month) হিসেবে শ্রদ্ধা পায়, কারণ ঐতিহাসিকভাবে এই মাসে যুদ্ধবিগ্রহ নিষিদ্ধ থাকত। 

  • Dhu al-Qadah শব্দের অর্থ প্রায় “বসা/স্থির হওয়া / বিশ্রাম” — অর্থাৎ, যুদ্ধ, দাঙ্গা-বাজো থেকে বিরতি এবং শান্তির প্রতীক হিসেবে। 

  • ঐতিহাসিকভাবে, এই মাস মুসলিম সম্প্রদায়কে যুদ্ধ থেকে বিরত থাকতে, শান্তিতে থাকা, আত্মপর্যালোচনা ও প্রস্তুতির জন্য দায়ীত্ব দেয়। 

  • সাধারণভাবে, রমজান, Shawwal এর ইবাদত-ব্যস্ততার পরে, এবং পরবর্তী মাস (Dhu al-Hijjah, হজের মাস) এর প্রস্তুতির আগে Dhu al-Qadah মাসকে শান্তি, বিশ্রাম এবং পুনরুজ্জীবনের সময় হিসেবে ধরা হয়। 

✅ কেন জানাটা জরুরি — মুসলিম হিসেবে আমাদের জন্য

  • যেহেতু ইসলামি ইবাদত (রোজা, ঈদ, হজ, ইত্যাদি) অনেক সময় Hijri মাসের ওপর নির্ভর করে, Hijri ক্যালেন্ডারের মাসগুলো ও তাদের স্থান-অবস্থান জানা থাকলে আমাদের জন্য তৌফিক হয়।

  • প্রতিটি মাসের নাম, তার অর্থ, এবং ঐ মাসে কোন বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে — এগুলো জানতে পারলে ইবাদত, নফল আমল, ও সময়ের মূল্য বুঝতে সুবিধা হয়।

  • যেমন: Shawwal মাস — রমজানের পর, আত্মিক শক্তি বজায় রাখতে এবং রোজা-নফল চালিয়ে যাওয়ার জন্য; Dhu al-Qadah মাস — শান্তি, প্রস্তুতি, পুনরায় তাজা মন ও আত্মিক তাওয়াকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য।


ইংরেজি তারিখ বার আরবি তারিখ আরবি মাস
০১ বুধবার ১৩ শাওয়াল
০২ বৃহস্পতিবার ১৪ শাওয়াল
০৩ শুক্রবার ১৫ শাওয়াল
০৪ শনিবার ১৬ শাওয়াল
০৫ রবিবার ১৭ শাওয়াল
০৬ সোমবার ১৮ শাওয়াল
০৭ মঙ্গলবার ১৯ শাওয়াল
০৮ বুধবার ২০ শাওয়াল
০৯ বৃহস্পতিবার ২১ শাওয়াল
১০ শুক্রবার ২২ শাওয়াল
১১ শনিবার ২৩ শাওয়াল
১২ রবিবার ২৪ শাওয়াল
১৩ সোমবার ২৫ শাওয়াল
১৪ মঙ্গলবার ২৬ শাওয়াল
১৫ বুধবার ২৭ শাওয়াল
১৬ বৃহস্পতিবার ২৮ শাওয়াল
১৭ শুক্রবার ২৯ শাওয়াল
১৮ শনিবার ০১ জ্বিলকদ
১৯ রবিবার ০২ জ্বিলকদ
২০ সোমবার ০৩ জ্বিলকদ
২১ মঙ্গলবার ০৪ জ্বিলকদ
২২ বুধবার ০৫ জ্বিলকদ
২৩ বৃহস্পতিবার ০৬ জ্বিলকদ
২৪ শুক্রবার ০৭ জ্বিলকদ
২৫ শনিবার ০৮ জ্বিলকদ
২৬ রবিবার ০৯ জ্বিলকদ
২৭ সোমবার ১০ জ্বিলকদ
২৮ মঙ্গলবার ১১ জ্বিলকদ
২৯ বুধবার ১২ জ্বিলকদ
৩০ বৃহস্পতিবার ১৩ জ্বিলকদ

মে ২০২৬ এর আরবি ক্যালেন্ডার

ইসলামি (Hijri) ক্যালেন্ডারের মাসগুলো চাঁদের উপর নির্ভর করে, এবং এর ১১তম মাস হলো জিলকদ (Dhu al-Qadah) এবং ১২তম মাস হলো জিলহজ (Dhu al-Hijjah)
এ দুটি মাসই ইসলামে চারটি হারাম মাসের অন্তর্ভুক্ত—যে মাসগুলোতে যুদ্ধবিগ্রহ নিষিদ্ধ।


🌙 জিলকদ (Dhu al-Qadah) — পবিত্রতার মাস

📌 নামকরণের অর্থ

“জিলকদ” শব্দের অর্থ ‘বসে থাকা’, অর্থাৎ সাময়িক যুদ্ধবিরতি বা বিরতি নেওয়া
এই মাসে প্রাচীন আরবে মানুষ যুদ্ধ বন্ধ রেখে শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য যাতায়াত করত।

📌 বৈশিষ্ট্য

  • এই মাসে যুদ্ধ নিষিদ্ধ, তবে কেউ আক্রান্ত হলে আত্মরক্ষা করা বৈধ

  • বাণিজ্য, হজ্জের প্রস্তুতি এবং নিরাপদ যাত্রার জন্য এই মাসটি বিশেষ পবিত্র হিসেবে বিবেচিত।

  • যেহেতু তিন পবিত্র মাস (জিলকদ + জিলহজ + মুহাররম) ধারাবাহিকভাবে আসে, তাই আত্মিক প্রস্তুতি ও ইবাদতের গুরুত্ব আরও বেড়ে যায়।


🌙 জিলহজ (Dhu al-Hijjah) — হজ্জ ও কুরবানির মাস

📌 নামকরণের অর্থ

“জিলহজ” অর্থ ‘হজের মাস’—এ মাসে মুসলিমরা কাবা শরিফে হজ পালন করতে যাত্রা করে।

📌 হজের সময়সূচি

  • ৮ জিলহজ (তারবিয়া)

  • ৯ জিলহজ (আরাফাহ দিবস)

  • ১০ জিলহজ (ঈদুল আযহা / নahr)
    হজের আনুষ্ঠানিকতা ১০, ১১ ও ১২ জিলহজ পর্যন্ত চলতে থাকে।
    ১২ তারিখ সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়।

📌 ঈদুল আযহা

১০ জিলহজ থেকে কুরবানির ঈদ শুরু হয়।
এটি মুসলমানদের জন্য ত্যাগ ও আত্মসমর্পণের মাস, ইবরাহিম (আ.)–এর সুন্নাহর পুনর্জীবন।

📌 পবিত্রতা ও বিধান

  • জিলহজ মাসও যুদ্ধবিগ্রহ থেকে নিষিদ্ধ মাস।

  • এ মাসে ইবাদত, দোয়া, কুরআন তেলাওয়াত, তাকওয়া—সবকিছুর গুরুত্ব অনেক।

  • ৯ জিলহজের রোজা (আরাফাহ রোজা) অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ।


🔭 আরবি মাস চাঁদের ওপর নির্ভরশীল

Hijri মাসগুলো চাঁদ ওঠার মাধ্যমে শুরু হয়।
সুতরাং, প্রতিবছর গ্রেগরিয়ান (ইংরেজি) ক্যালেন্ডারের তারিখ ভিন্ন হতে পারে — কখনও আগে, কখনও পরে।


সারসংক্ষেপ

আরবি মাসইংরেজি নামবিশেষ গুরুত্বযুদ্ধের বিধান
জিলকদDhu al-Qadahপবিত্র মাস, যুদ্ধবিরতির মাসনিষিদ্ধ
জিলহজDhu al-Hijjahহজ, ঈদুল আযহা, কুরবানিনিষিদ্ধ
ইংরেজি্তারিখ বার আরবি তারিখ আরবি মাস
০১ শুক্রবার ১৪ জ্বিলকদ
০২ শনিবার ১৫ জ্বিলকদ
০৩ রবিবার ১৬ জ্বিলকদ
০৪ সোমবার ১৭ জ্বিলকদ
০৫ মঙ্গলবার ১৮ জ্বিলকদ
০৬ বুধবার ১৯ জ্বিলকদ
০৭ বৃহস্পতিবার ২০ জ্বিলকদ
০৮ শুক্রবার ২১ জ্বিলকদ
০৯ শনিবার ২২ জ্বিলকদ
১০ রবিবার ২৩ জ্বিলকদ
১১ সোমবার ২৪ জ্বিলকদ
১২ মঙ্গলবার ২৫ জ্বিলকদ
১৩ বুধবার ২৬ জ্বিলকদ
১৪ বৃহস্পতিবার ২৭ জ্বিলকদ
১৫ শুক্রবার ২৮ জ্বিলকদ
১৬ শনিবার ২৯ জ্বিলকদ
১৭ রবিবার ৩০ জ্বিলকদ
১৮ সোমবার ০১ জিলহজ্ব
১৯ মঙ্গলবার ০২ জিলহজ্ব
২০ বুধবার ০৩ জিলহজ্ব
২১ বৃহস্পতিবার ০৪ জিলহজ্ব
২২ শুক্রবার ০৫ জিলহজ্ব
২৩ শনিবার ০৬ জিলহজ্ব
২৪ রবিবার ০৭ জিলহজ্ব
২৫ সোমবার ০৮ জিলহজ্ব
২৬ মঙ্গলবার ০৯ জিলহজ্ব
২৭ বুধবার ১০ জিলহজ্ব
২৮ বৃহস্পতিবার ১১ জিলহজ্ব
২৯ শুক্রবার ১২ জিলহজ্ব
৩০ শনিবার ১৩ জিলহজ্ব
৩১ রবিবার ১৪ জিলহজ্ব

জুন ২০২৬ এর আরবি ক্যালেন্ডার

ইসলামি (হিজরি) ক্যালেন্ডার সম্পূর্ণভাবে আরবি মাসের চাঁদ উঠা অনুযায়ী।

এ ক্যালেন্ডারের শেষ মাস হলো জিলহজ (Dhu al-Hijjah) এবং প্রথম মাস হলো মহররম (Muharram)
অর্থাৎ, হিজরি বছরের সমাপ্তি ও সূচনা—দুটি মাসই ধারাবাহিকভাবে আসে এবং উভয় মাসেই মুসলিমদের জন্য বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে।


🌙 জিলহজ (Dhu al-Hijjah) — হিজরি বছরের শেষ মাস
এই মাসেই ঘটে মুসলমানদের অন্যতম বৃহৎ ইবাদত—হজ
📌 জিলহজের বিশেষ দিক
🌙 মহররম (Muharram) — হিজরি বছরের প্রথম মাস
এটি ইসলামের চারটি হারাম মাসের একটি।
📌 মহররমের গুরুত্ব
🌙 আরবি মাসের ক্যালেন্ডার কেন গুরুত্বপূর্ণ?
সুতরাং, আরবি ক্যালেন্ডার জানা প্রতিটি মুসলমানের জন্য জরুরি।
এ কারণে ২০২৬ সালের ইংরেজি জুন মাসে জিলহজ ও মহররমের দিন দেখা যায়, কিন্তু পরবর্তী বছরগুলোতে তা ভিন্ন হতে পারে।
সারসংক্ষেপ
আরবি মাসঅবস্থানবিশেষ তাৎপর্যমূল ইবাদত
জিলহজ১২তম (শেষ) মাসহজ, ঈদুল আযহা, আরাফাহহজ, কুরবানি
মহররম১ম মাসপবিত্র মাস, যুদ্ধ নিষিদ্ধআশুরার রোজা

২০২৬ সালের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ইংরেজি জুন মাসে সাধারণত জিলহজ ও মহররম দুই মাসের দিন থাকে, তবে চাঁদ দেখার কারণে এক–দুই দিনের পার্থক্য ঘটতে পারে।

জিলহজ হলো ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ মাসগুলোর একটি।

  • হজ পালনের মাস

  • ৮, ৯, ১০ জিলহজ—হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা

  • ১০ জিলহজ—ঈদুল আযহা (কুরবানির ঈদ)

  • ৯ জিলহজ—আরাফাহ দিবস

  • এ মাসটিও হারাম মাস, তাই যুদ্ধ নিষিদ্ধ

জিলহজ মুসলিম উম্মাহর জন্য ত্যাগ, আত্মসমর্পণ এবং তাকওয়ার প্রতীক।

মহররমের শব্দার্থই “নিষিদ্ধ”, অর্থাৎ এ মাস এত পবিত্র যে যুদ্ধ-বিগ্রহ এ মাসে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

  • হিজরি বছরের প্রথম মাস

  • পবিত্রতার মাস

  • রক্তপাত ও যুদ্ধ নিষিদ্ধ

  • ১০ মহররম—আশুরা

    • মুসলমানরা এ দিনে রোজা রাখে

    • আত্মসমর্পণ, তাওবা ও কৃতজ্ঞতার প্রতীক

    • বহু ঐতিহাসিক ঘটনার দিন হিসেবে উল্লেখযোগ্য

আশুরা ইসলামের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন, এবং এই日の ইবাদতের ফজিলত অনেক।

ইসলামে সকল প্রধান ইবাদত—

  • রমজান,

  • ঈদুল ফিতর,

  • ঈদুল আযহা,

  • হজ,

  • আশুরা,

  • নফল রোজা,

এসবই নির্ভর করে হিজরি মাসের উপর।

চাঁদ ওঠার মাধ্যমে মাস শুরু হওয়ায় হিজরি মাস গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের প্রতি বছর কিছুটা আগে-পিছে সরে যায়।


ইংরেজি তারিখ বার আরবি তারিখ আরবি মাস
০১ সোমবার ১৫ জিলহজ্ব ১৪৪৭
০২ ্মঙ্গলবার ১৬ জিলহজ্ব ১৪৪৭
০৩ বুধবার ১৭ জিলহজ্ব ১৪৪৭
০৪ বৃহস্পতিবার ১৮ জিলহজ্ব ১৪৪৭
০৫ শুক্রবার ১৯ জিলহজ্ব ১৪৪৭
০৬ শনিবার ২০ জিলহজ্ব ১৪৪৭
০৭ রবিবার ২১ জিলহজ্ব ১৪৪৭
০৮ সোমবার ২২ জিলহজ্ব ১৪৪৭
০৯ মঙ্গলবার ২৩ জিলহজ্ব ১৪৪৭
১০ বুধবার ২৪ জিলহজ্ব ১৪৪৭
১১ বৃহস্পতিবার ২৫ জিলহজ্ব ১৪৪৭
১২ শুক্রবার ২৬ জিলহজ্ব ১৪৪৭
১৩ শনিবার ২৭ জিলহজ্ব ১৪৪৭
১৪ রবিবার ২৮ জিলহজ্ব ১৪৪৭
১৫ সোমবার ২৯ জিলহজ্ব ১৪৪৭
১৬ মঙ্গলবার ০১ মহররম ১৪৪৮
১৭ বুধবার ০২ মহররম ১৪৪৮
১৮ বৃহস্পতিবার ০৩ মহররম ১৪৪৮
১৯ শুক্রবার ০৪ মহররম ১৪৪৮
২০ শনিবার ০৫ মহররম ১৪৪৮
২১ রবিবার ০৬ মহররম ১৪৪৮
২২ সোমবার ০৭ ্মহররম ১৪৪৮
২৩ মঙ্গলবার ০৮ মহররম ১৪৪৮
২৪ বুধবার ০৯ মহররম ১৪৪৮
২৫ বৃহস্পতিবার ১০ মহররম ১৪৪৮
২৬ শুক্রবার ১১ মহররম ১৪৪৮
২৭ শনিবার ১২ মহররম ১৪৪৮
২৮ রবিবার ১৩ মহররম ১৪৪৮
২৯ সোমবার ১৪ মহররম ১৪৪৮
৩০ মঙ্গলবার ১৫ মহররম ১৪৪৮
kkkkk


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url